প্রতিষ্ঠাতার বাণী
ইসলাম আল্লাহ তা‘আলার একমাত্র পছন্দনীয় দ্বীন। এ দ্বীন পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আলেমদের। দ্বীন প্রচার—প্রসার করা দ্বীন সংরক্ষণের একটি মৌলিক ও পূর্বশর্তমূলক কাজ। দ্বীন সংরক্ষণের প্রধান দিক হলো ইলমে দ্বীন তথা কুরআন ও সুন্নাহকে সংরক্ষণ করা। এ সুমহান লক্ষ্যে যুগে যুগে আল্লাহ তা‘আলার প্রিয় বান্দারা ইলমে দ্বীনকে হেফাজত করার জন্য পৃথিবীর আনাচে—কানাচে প্রতিষ্ঠা করেছেন অসংখ্য মাদরাসা। বিশ্বায়নের এ যুগে জ্ঞান—বিজ্ঞানের উন্নতি—অগ্রগতি এবং প্রযুক্তির জয়জয়কারের মুহূর্তে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ও মেধা—মননের লালনসহ বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতা অর্জন করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। যাতে করে সামগ্রিক উন্নতির ক্ষেত্রে জাতি এই মেধাবী সন্তানদের সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। তাই উপমহাদেশের দ্বীনি শিক্ষার হারানো গৌরব দরসে নিযামী ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে পাঠদানের মাধ্যম শিক্ষার্থীদেরকে যোগ্য আলেম হিসেবে তৈরী করতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘তাজুশ শরীয়াহ্ দরসে নিযামী মাদরাস’। এখানে একজন শিক্ষার্থীকে একটি আবাসিক পরিবেশে রেখে বিশেষ যত্নের সাথে রুটিন মাফিক জীবন—যাপন করতে সাহায্য করা হয়। তাকে আমলের প্রতি যত্নবান হতে উৎসাহিত করা হয়। আরবীভাষা ও ব্যাকরণের প্রতি অধিক গুরুত্বারোপের মাধ্যমে তাকে ইলমের স্বাদ পেতে সাহায্য করা হয়। ইলমের গভীরতা অর্জনের জন্য মৌলিক কিতাব অধ্যয়নের যোগ্যতা সৃষ্টি করার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়। বিভিন্ন শ্রেণিতে পর্যায়ক্রমে গুরুত্বপূর্ণ আরবী মূল কিতাব বা—তাহকীক খতম করানো হয়। সাথে সাথে উর্দূ ও ফার্সী ভাষার সাথে পরিচয় করানোর জন্য এ ভাষার প্রাথমিক কিতাবগুলোকে যত্নের সাথে পড়ানো হয়। বিশেষ করে স্পোকেন ও গ্রামাটিক্যাল ইংলিশ যত্নের সাথে শেখানো হয়। একজন শিক্ষার্থী যাতে সত্যিকারার্থে ইলমে দ্বীনের ধারক ও বাহক হতে পারে সে জন্যে ফরযের পাশাপাশি দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় নফল আমল চর্চা করানো হয়। আশা করি, এ পরিকল্পিত পাঠ্যক্রম ও পাঠদান আমার/আপনার সন্তানকে একজন যোগ্য আলেমে দ্বীন হতে সাহায্য করবে এবং আমাদের দ্বীনি শিক্ষার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পারবে, ইন—শা—আল্লাহ। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সহায় হোন। আমীন।