তাজুশ শরীয়াহ্ দরসে নিযামী মাদরাসা বিভিন্ন বিভাগ এবং প্রতিটি বিভাগের অধীনে একাধিক শাখায় বিভক্ত একটি ইসলামি শিক্ষা ও তরবিয়াতিমুলক দ্বীনি প্রতিষ্ঠান গড়ার প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে শরীয়াহ্ বিভাগ (کلية الشريعة) এর অধীনে দরসে নিযামী (قسم الدرس النظامی) শাখার শিক্ষাকার্যক্রম চলমান রয়েছে।
শিক্ষাস্তর
- এ‘দাদিয়্যাহ (প্রস্তুতিমূলক) স্তর : ১ বছর। [৪র্থ ও ৫ম শ্রেণি]
- মুতাওয়াসসিতাহ্ (নিম্ন মাধ্যমিক) স্তর : ৩ বছর। [৬ষ্ঠ—৮ম শ্রেণি]
- ছানাবিয়্যাহ্ (মাধ্যমিক) স্তর : ২ বছর। [৯ম —১০ম শ্রেণি]
- ‘আলিয়্যাহ্ (উচ্চ মাধ্যমিক ও বি.এ) স্তর : ২ বছর। [আলিম ও ফাযিল]
- ‘আলমিয়্যাহ্ (এম.এ / ফযিলত) স্তর : ১ বছর। [কামিল]
তাখাসসুস শাখা (قسم التخصص): দরসে নিযামী কোর্স শেষ করার পর ফিকহ ও ইফ্তা, হাদিস, তাফসীর, আকাঈদ, দাওয়াহ ও আরবি সাহিত্য ইত্যাদি বিষয়ের উপর ২ বছর মেয়াদি তাখাসসুস কোর্স খোলারও আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে।
দরসে নিযামী শাখার পাঠ্যক্রম: আলিয়া ও দরসে নিযামীর সমন্বিত পাঠ্যক্রমের আলোকে পাঠদান করা হয়। যাতে আরবি ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরবিতে সরফ-নাহু-আদব এবং ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্র বিশেষভাবে পড়ানো হয়। প্রতিটি শ্রেণিতে কুরআন মজীদ তাজভিদসহ বিশুদ্ধ পঠন ও মুখস্তকরণ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। তাছাড়া উর্দু ও ফার্সি ভাষা শিক্ষারও বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। ৮/৯ বছর মেয়াদি দরসে নিযামীর এ কোর্সে বিষষ ভিত্তিক যেসব গুরুত্বপূর্ণ কিতাব পড়ানো হয় তা নিম্নরূপ:
১. সরফ: মিযান, মুনশাইব, পাঞ্জেগাঞ্জ, ইলমুস সিগাহ্, ফুসূলে আকবরি (খাসিয়াতে আবওয়াব), মারাহুল আরওয়াহ্।
২. নাহাব: নাহাবে মীর (জুমাল—তাতিম্মাহ্—খোলাসাসহ), মিয়াতু আমেল মনযূম, শরহু মিয়াতে আমেল, হেদায়াতুন নাহাব, কাফিয়াতুন নাহাব, কাফিয়া ও শরহে জামি।
৩. বালাগাত: দুরূসুল বালাগাত, তালখিসুল মিফতাহ্, আল-বালাগাতুল ওয়াযিহা, মুখতাসারুল মা’নী।
৪. মানতিক: নিসাবুল মানতিক, মিরকাত, শরহে তাহযিব, কুতবী।
৫. আরবি ভাষা ও ইনশা : তরীকায়ে জদীদাহ, দুরূসুল লুগাতিল আরাবিয়াহ্ (১—৩ খণ্ড), আল লুগাতুল আরাবিয়াহ ইত্তেসালিয়াহ (৮ম—১০ম) এবং আলিম ও ফাযিলের আরবি সাহিত্য।
৬. আরবি সাহিত্য: প্রাচীন ও আধুনিক আরবি পদ্য ও গদ্য সাহিত্য, (আরবি সাহিত্যের ইতিহাসসহ)।
৭. তাজভিদ: মাদানি কায়দা, তালীমুল কুরআন বি-তরীকাতিল মশক, ফয়যানে তাজভিদ।
৮. কুরআন মাজিদ ও তাফসির : কানযুল ঈমান ও খাযাঈনুল ইরফান, সাফওয়াতুত্ তাফাসীর, জালালাইন, বায়যাভি ও কাশশাফ।
৯. উলূমুল কুরআন: ফাহমুল কুরআন, যুবদাতুল ইতকান, ইতকান।
১০. উসূলে তাফসির: আত-তানভির ফি উসূলিত তাফসির, আল-ফাওযুল কবির (তারিখে ইলমে তাফসিরসহ)।
১১. হাদিস শরীফ: মিশকাত, মুওয়াত্তা ইমাম মুহাম্মদ, মুওয়াত্তা ইমাম মালিক, বুখারি, মুসলিম, তিরমিযি, আবূ দাউদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ্, তাহাবী শরীফ।
১২. উসূলুল হাদিস: মুকাদ্দামাতুশ শায়খ, তায়সির মুসতালাহুল হাদিস, শরহে নুখবাহ্, আল হাদুল কাফ (তারিখে ইলমে হাদিসসহ)।
১৩. ফিকহ্: আরকানুল ইসলাম, তা‘লীমে ইসলাম, নুরুল ইযাহ, কুদুরি, শরহে বিকায়াহ, হিদায়া।
১৪. উসূলুল ফিকহ: উসূলুশ শাশী, নূরুল আনওয়ার, হুসামি, তাওযিহ মা‘-তালবিহ, মুসাল্লিমুস সুবূত (তারিখে ইলমে ফিকহ সহ)।
১৫. ফরায়েজ: সিরাজি (শরীফিয়াহ সহ)।
১৬. সিরাতে রসূল: রসূলে মুখতার, নূর নবী, সিরাতুর রসূল (আরবি), আনওয়ারে মুহাম্মাদিয়াহ, ফিকহুস সিরাহ লিল বুতি।
১৭. তাসাওউফ ও আখলাক: ফিকহ ও আখলাক, তালিমুল মুতা’আল্লিম, লুবাবুল ইহ্ইয়াহ্।
১৮. আকাইদ ও কালাম: কিতাবুল আকাইদ, তামহিদে ঈমান, আকীদাতুত তাহাবি (মতন), আল-আকাইদ ওয়াল মাসাইল, আল-মুতাকাদু মুনতাকাদ, মিন আকাইদি আহলিস সুন্নাহ, আকাইদে নাসাফি।
১৯. তাকাবুলে আদইয়ান: নির্বাচিত অংশ।
২০. মুনাযিরাহ: মুনাযারায়ে রশিদিয়াহ্।
২১. ইতিহাস: ইসলামের ইতিহাস, মানবজাতির ইতিহাস, ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস।
২২. সামাজিক বিজ্ঞান: সমাজ, রাস্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, বাংলাদেশ স্টাডিজ।
২৩. দর্শন: প্রাচীন ও আধুনিক দর্শন থেকে নির্বাচিত অংশ।
২৪. গণিত: গণিত (বোর্ড বই)।
২৫. তথ্য প্রযুক্তি: বোর্ড ও নির্বাচিত বই।
২৬. গবেষণা পদ্ধতি: নির্বাচিত বই।
২৭. বাংলা ভাষা ও সাহিত্য: বোর্ড ও নির্বাচিত বই।
২৮. ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য: বোর্ড ও নির্বাচিত বই।
২৯. উর্দূ ভাষা ও সাহিত্য: তামিরে আদব (১—৪র্থ খণ্ড), উর্দূ কাওয়াইদ।
৩০. ফারসি ভাষা ও সাহিত্য: ফার্সী কী পেহলী, ফারসী কী দুসরি, ফারসি কাওয়াইদ।
৩১. হস্তলিপি ও ক্যালিগ্রাফি: নির্বাচিত বই ও অনুশীলন।
বিশেষ করে, দরজায়ে সাবে’আ (ফাযিল / বিএ সমমান) শ্রেণিতে ‘আদ-দিরাসাতুর রযভিয়্যা’ বা ইমাম আহমদ রেযা স্টাডিজ নামে ১০০ নম্বরের একটি পত্র পড়ানো হয়। এতে আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা রাহমাতুল্লাহি আলাইহি -সহ আমাদের সুন্নি আকাবির হযরাতের অবদানকে তুলে ধরা হয়।
সহ-পাঠ্যক্রম: একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীর মেধা বিকাশের জন্য এখানে রয়েছে বহুমুখি কার্যক্রম। যেমন, ১. পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন উপলক্ষে সীরাতে রসূল পাঠের আসর, ২. সাপ্তাহিক দরসে তাসাওউফ, ৩. বিতর্ক প্রতিযোগিতা, ৪. সাহিত্য মজলিস, ৫. সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা, ৬. আরবি/বাংলা/ইংরেজি ব্যাকরণ প্রতিযোগিতা, ৭. সাংস্কৃতি ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ৮. পাক্ষিক তারবিয়াতি জলসা, ৯. ফরয উলুম শিক্ষা মজলিস, ১০. জাতীয় ও ধর্মীয় দিবস উপলক্ষে সেমিনার ও আলোচনা সভা, ১১. (বাদে ফজর) নিয়মিত খতমে খাজেগান ও ১২. বার্ষিক শিক্ষাসফর, ১৩. সালানা জলসা ও বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ সভা, ১৪. নতুন সবক প্রদান ও নবীনবরণ ইত্যাদি উল্লেযোগ্য।
ইউনিফরম: সাদা টুপি, এক পকেট বিশিষ্ট সাদা পাঞ্জাবী, পায়জামা ও হাফ হাতা সাদা গেঞ্জি। ক্লাস চলাকালীন সময়ে ও মাদরাসার যেকোন অনুষ্ঠানে এ পোশাক পরিধান করা বাধ্যতামূলক। অন্য সময়ও সর্বদা শালীন, মার্জিত, সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করতে হবে। কোন প্রকারের রংবেরঙের পোশাক পরিধান করা যাবেনা।
শিক্ষা-দীক্ষার পদ্ধতি: তাজুশ শরীয়ায় ছাত্রদেরকে শুধু পুতিগত শিক্ষা দেওয়া হয়না বরং ইসলামি তরবিয়াতের নূর দ্বারা তাদেরকে আলোকিতও করা হয়। এ জন্য এখানে রয়েছে ইসলামী ও আখলাকি তরবিয়াতের সুদৃঢ় নীতিমালা, যা পালন করা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য বাধ্যতামূলক।
* ফজরের নামাযের পর বাধ্যতামূলক কুরআন তিলাওয়াত।
* নামাযের সময় ক্যাম্পাস/বাইরে ঘুরাফেরা করতে না দেয়া।
* ক্লাস চলাকালীন বিনা প্রয়োজনে হোস্টেলে অবস্থান না করা।
* ক্লাস চলাকালীন নির্ধারিত ইউনিফরম পরিধান করে থাকা।
* সাপ্তাহিক জলসা ও পাক্ষিক তরবিয়াতি মাহফিলে উপস্থিত থাকা।
* সুন্নাত ও নফল নামাযের প্রতি গুরুত্বারোপ।
* প্রত্যাহিক সমাবেশে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।
* নিজ শরীর, পোশাক, কক্ষ পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখা।
* চুল, দাড়ি, আচার-ব্যবহার সবকিছু সুন্নাত মত হওয়া।
* আযান শুনার সাথে সাথে নামাযের জন্য প্রস্তুত হওয়া।
* নিয়মিত তাকরারের ক্লাসে উপস্থিত থাকা। প্রয়োজনে শিক্ষকের সহায়তা নেয়া।
* রাত ১১টা পর্যন্ত মুতালা’আ করা।
* ছাত্রদের মূল্যবান সময় শিক্ষা-দীক্ষা ছাড়া যাতে কোন অপ্রয়োজনীয় কাজে নষ্ট না হয়, সেজন্য কর্তৃপক্ষের সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়।
ক্লাসের সময়সূচি: সকাল ৮টা হতে দুপুর ১:৩৫টা পর্যন্ত। ৪র্থ প্রিয়ডের পর ৩০মিনিটের বিরতি।উল্লেখ্য যে, শ্রেণি কার্যক্রমের মোট সময় সাড়ে পাঁচ ঘন্টা, যা ৮টি প্রিয়ডে বিভক্ত। প্রথম প্রিয়ড ৪৫ মিনিট আর পরবর্তী প্রিয়ডসমূহ ৩৫ মিনিট করে অনুষ্টিত হয়।
আবাসিক ক্লাসের সময়:
* দুপুর : খাবার শেষে কমপক্ষে ১ ঘন্টা বাড়ির কাজ ও লেখা-লেখি।
* বাদে মাগরিব: তাকরার ১.৩০ ঘন্টা ও তাকরার শেষে রাত ১১টা পর্যন্ত শ্রেণিপাঠ প্রস্তুতি।
* বিশেষ ক্লাস : দুপুর ২টা হতে ২ ঘন্টা (দাখিল/আলিম পরীক্ষার্থীদের জন্য)
পরীক্ষা পদ্ধতি: প্রত্যেক বিষয়ে শিক্ষক কর্তৃক ক্লাস পারফরমেন্স, মাসিক টেস্ট এবং অর্ধ-বার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হয়। প্রতিটি পরীক্ষার পূর্বে ১০০ নম্বরের কুরআন মাজিদ ও তাজভীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও পঠিত সকল বিষয়ের উপর ৫০ নম্বর, সাধারণ জ্ঞান ৩০ নম্বর ও আমলী ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া আবশ্যিক। গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফলাফল নির্ধরাণ করা হয়। ফলাফল প্রকাশের পর ফলাফল অভিভাবককে জানিয়ে দেয়া হয়। যে ছাত্রের ক্লাসে উপস্থিতির হার ন্যূনতম ৭০% এ কম হবে তাকে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয় না। প্রতিটি বিষয়ে আলাদাভাবে পাশ করতে হবে। পাশের ন্যূনতম নম্বর ৪০।
ভর্তি তথ্যবলি: দরজায়ে এ‘দাদিয়্যাহ (৪র্থ/৫ম) থেকে দরজায়ে রাবে‘আ (৯ম) শ্রেণিতে সীমিত সংখ্যক ছাত্র ভর্তি করানো হয়।
ভর্তির শর্তাবলী: নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হতে হবে। ভর্তিযোগ্য হলে মাদরাসার নির্ধারিত আসন সংখ্যা অবশিষ্ট থাকা সাপেক্ষে ভর্তি হতে পারবে। প্রতিষ্ঠানের আদর্শ ও নিয়ম-শৃঙ্খলা মান্য করা ভর্তি যোগ্যতার অপরিহার্য শর্ত বলে বিবেচিত হবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ভর্তি না হলে ভর্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
ভর্তি প্রক্রিয়া: প্রতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য ১লা ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারিখের মধ্যে মাদরাসা অফিস এসে ভাইভা (মৌখিক) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। ভর্তিযোগ্য হলে ২০০ টাকা জমা দিয়ে একটি ভর্তিফরম সংগ্রহ করতে হবে। ভর্তিফরম পূরণ করে নির্ধারিত ফি-সমূহ পরিশোধ পূর্বক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ফি-সমূহ পরিশোধ করে পুনঃভর্তি সম্পন্ন করা। ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন সনদের ফটোকপি, পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণির ক্ষেত্রে ৬ষ্ঠ শ্রেণির রেজিঃ কার্ড ও প্রশংসাপত্রের মূল কপি এবং ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের সদ্য তোলা রঙিন ছবি ভর্তির ফরমের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষার বিষয় ও মানবন্টন:
* দ. উলা (৬ষ্ঠ) ও ছানিয়া (৭ম): আরবি বা ধর্ম— ২০, বাংলা— ২০, ইংরেজি— ২০, গণিত— ২০, সাধারণ জ্ঞান— ১০, মৌখিক ১০; মোট ১০০ নম্বর। পাশ নম্বর: ৪০। পঞ্চম শ্রেণির পঠিত বিষয়সমূহ থেকে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়।
* দ. সালেছা (৮ম) ও রাবেআ (৯ম): আরবি— ১০, নাহু ও সরফÑ ২০, বাংলা— ১৫, ইংরেজি— ১৫, গণিত— ২০, সাধারণ জ্ঞান— ১০, মৌখিক ১০; মোট ১০০ নম্বর। পাশ নম্বর: ৪০।
মাদরাসার বৈশিষ্ট্য:
* দলীয় রাজনীতিমুক্ত পরিবেশ।
* দরসে নিযামী,আলিয়া ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়।
* সুন্নাতে নববীর অনুসরণ।
* ইসলামী শিষ্টাচার শিক্ষা ও বাস্তবে প্রয়োগ বাধ্যতামূলক।
* তাজবীদসহকারে পবিত্র কুরআনের পাঠদান।
* সাপ্তাহিক আলোচনা সভা, বিতর্ক, সাধারণ জ্ঞান ও রচনা প্রতিযোগিতা ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রতিভার বিকাশ।
* মডেল পরীক্ষা ও সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ।
* আরবী ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্বারোপ।
* আরবি, বাংলা ও ইংরেজি হস্তলিপির চর্চা।
* বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ।
* উর্দু ও ফার্সি বিষয়ে বিশেষ পাঠদান।
* পরিকল্পিত ও যুগোপযোগী ব্যবস্থাপনা।
* দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ক্লাস।
* ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শেষ করা।
* জার্নাল-ম্যাগাজিন ও দেয়ালিকা প্রকাশ।
* বাধ্যতামূলকভাবে কম্পিউটার শিক্ষা।
* নির্ধারিত সময়ে লাইব্রেরি ওয়ার্ক।
* জরুরি ভিত্তিতে প্রাথমিক চিকিৎসা।
* বার্ষিক শিক্ষা সফর।
* উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ।
অন্যান্য শাখাসমূহ (প্রস্তাবিত):
০১. দারুল ইফতা ওয়াল ফরায়েয
০২. দারুত তাসনিফ ওয়াত তালিফ
০৩. দারুল নশর ওয়াল ইশাআত
০৪. দাওয়া ওয়া ইসলাহ্
০৫. আইটি ইনস্টিটিউট
০৬. ইমাম আহমদ রেযা লাইব্রেরী
সনদসমূহ
* শাহাদাতুস ছানাবিয়্যাহ্ (شهادة الثانوية): দরসে নিযামীর দরজায়ে খামেসা (দাখিল সমমান) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর এ সনদ প্রদান করা হয়।
* শাহাদাতুস ‘আলিয়্যাহ্ (شهادة العالية): দরসে নিযামীর দরজায়ে সাদেসা ও সাবে‘আ (আলিম ও ফাযিল সমমান) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর এ সনদ প্রদান করা হয়।
* শাহাদাতুল ‘আলমিয়্যাহ (شهادة العالميّة): দরসে নিযামীর দরজায়ে ছামেনাহ্ বা দরজায়ে ফযিলত (কামিল সমমান) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর এ সনদ প্রদান করা হয়।
সম্মাননা ও পুরস্কার
সারা মাদরাসায় সর্ব্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত ৩ জন
১ পয়গম্বরে ইসলাম এওয়ার্ড: ১ম স্থান
২ ইমাম আযম এওয়ার্ড: ২য় স্থান
৩ ইমাম মাতুরিদি এওয়ার্ড: ৩য় স্থান
প্রতি শ্রেণিতে মেধা স্থান অনুসারে ৩ জন
৪ গাউসুল আযম এওয়ার্ড: ১ম স্থান
৫ খাজা গরীবে নেওয়াজ এওয়ার্ড: ২য় স্থান
৬ মুজাদ্দিদে আলফি সানি এওয়ার্ড: ৩য় স্থান
পুরো মাদরাসায় সর্ব্বোচ্চ উপস্থিতির জন্য
৭ ইমাম আহমদ রেযা এওয়ার্ড
সৎচরিত্র ও সুন্দর আচরণ
৮ ইমাম গাযালি এওয়ার্ড
শিক্ষাবৃত্তি
মেধাবী-গরীব শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইমাম শেরে বাংলা শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা।
