
ভর্তি কার্যক্রম
ভর্তিফরম বিতরণ: ০১ নভেম্বর ‘২৫ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ‘২৫ পর্যন্ত।
ভর্তির শেষ তারিখ: ০৬ জানুয়ারি ‘২৬, মঙ্গলবার পর্যন্ত।
সবক প্রদান ও নবীনবরণ: ০৭ জানুয়ারি ‘২৬, বুধবার, সকাল ১০ ঘটিকা।
ভর্তি তথ্যাবলি
দরজায়ে এ‘দাদিয়্যাহ (৫ম) শ্রেণি থেকে দরজায়ে রাবে‘আ (৯ম) শ্রেণি পর্যন্ত সীমিত সংখ্যক ছাত্র ভর্তি করা হয়।
ভর্তি প্রক্রিয়া
১. ভর্তি ফরম ফি- ২০০/— টাকা আদায় করে অফিস থেকে ভর্তিফরম সংগ্রহ করা ও জমাদান।
২. ভর্তির নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ছাত্রসহ অভিভাবকের সাক্ষাতে ভাইভা (ঠওঠঅ) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ।
৩. ভর্তিযোগ্য শ্রেণির নির্ধারিত ভর্তি ফি দিয়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা।
ভর্তি যোগ্যতা
* এ‘দাদিয়্যাহ (৫ম) শ্রেণির ভর্তি যোগ্যতা: ৪র্থ শ্রেণি পাস। (মাদরাসা/স্কুল)
* দরজায়ে উলা (৬ষ্ঠ) ও ছানিয়া (৭ম) শ্রেণির ভর্তি যোগ্যতা: ৫ম/৬ষ্ঠ শ্রেণি পাস। হাফেজে কুরআন ছাত্রের জন্য শিথিলযোগ্য।
* দরজায়ে ছালেছা (৮ম) ও রাবে‘আ (৯ম) শ্রেণিতে ভর্তি হতে হলে পূর্বের শ্রেণিতে সরকারী রেজিষ্ট্রেশনভুক্ত হওয়ার পাশাপাশি মিযান, মুনশায়িব ও নাহুমীর জানা থাকতে হবে।
ভর্তি ফরমের সাথে প্রযোজ্য
১. ছাত্রের পাসপোর্ট সাইজের ছবি— ৩ কপি।
২. ছাত্রের অনলাইন জন্মনিবন্ধনের ফটোকপি— ১ কপি।
৩. মাতা-পিতা/অভিভাবকের পাসপোর্ট সাইজের ছবি— ১ কপি।
৪. মাতা-পিতা/অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি— ১ কপি।
৫. মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিষ্ট্রেশন কার্ড/ তথ্য। (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
৬. পূর্ববর্তী প্রতিষ্ঠানের প্রশংসাপত্র / নম্বরপত্র। (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
ইউনিফর্ম
সাদা টুপি, সাদা পাঞ্জাবী, পায়জামা ও হাফ হাতা সাদা গেঞ্জি।
ক্লাসের সময়সূচি
সকাল ৮টা হতে দুপুর ১:৩৫টা পর্যন্ত ৮ প্রিয়ড। ৪র্থ প্রিয়ডের পর ৩০ মিনিটের বিরতি।
আবাসিক ও বিশেষ ক্লাসের সময়
দুপুরের খাবার শেষে কমপক্ষে ১ ঘন্টা বাড়ির কাজ ও লেখা-লেখি। বাদে মাগরিব থেকে দেড় ঘন্টা তাকরার ও তাকরার শেষে রাত ১১টা পর্যন্ত শ্রেণি পাঠ প্রস্তুতি।
দাখিল/আলিম পরীক্ষার্থীদের জন্য দুপুর ২:৩০টা হতে ২ ঘন্টাব্যাপী বোর্ড পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক বিশেষ ক্লাস।
শিক্ষাস্তর
* এ‘দাদিয়্যাহ (প্রস্তুতিমূলক): ১ বছর। [৫ম শ্রেণি]
* মুতাওয়াসিতাহ্ (নিম্ন মাধ্যমিক): ৩ বছর [৬ষ্ঠ—৮ম শ্রেণি]
* ছানাভিয়্যাহ্ (মাধ্যমিক): ২ বছর [৯ম—১০ম শ্রেণি]
* ‘আলিয়্যাহ্ (উচ্চ মাধ্যমিক ও বি.এ): ২ বছর [আলিম ও ফাযিল]
* ‘আলমিয়্যাহ্ (এম.এ / ফযিলত): ১ বছর [কামিল]
শিক্ষান্তর পরিচিতি
১. এ‘দাদিয়্যাহ [৫ম]: এ স্তরের মেয়াদ ১ বছর। এখানে সাধরণ বিষয় (বাংলা, ইংরেজি, গণিত)—এর পাশাপাশি প্রাথমিক উর্দূ, আরবি ভাষা, ফিক্হ, পবিত্র কুরআন নাযেরা ও দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় মাসয়ালা-মাসায়েল শিখানো হয়। ৮ বছর মেয়াদী দরসে নিযামীর দরজায়ে উলা (৬ষ্ঠ) শ্রেণিতে পড়ার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়।
২. মুতাওয়াসিতাহ্ [৬ষ্ঠ — ৮ম]: এ স্তরের মেয়াদ ৩ বছর। এ স্তর মূলত দরসে নিযামীর প্রবেশদ্বার, যা ‘প্রাক দরসে নিযামী’ নামে অভিহিত। আরবি—উর্দু—ফার্সি—বাংলা—ইংরেজি ও গণিতের পাঠ দিয়ে এ স্তরকে সাজানো হয়েছে। সাথে সাথে রয়েছে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় ফিকহ ও আকীদাগত বিষয়ের পাঠ। বিশেষভাবে ইলমে কিরাতের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এই স্তর শেষ করার পর একজন ছাত্র প্রাথমিকভাবে আরবী—উর্দু—ফার্সী ও ইংরেজি বইপত্র মোটামুটি পড়তে ও বুঝতে সক্ষম হবে।
৩. ছানাভিয়্যাহ্ (৯ম ও ১০ম): এ স্তরের মেয়াদ ২ বছর। এখান থেকে দরসে নিযামীর মূল পাঠ শুরু করা হয়। আরবী ভাষাজ্ঞানকে পাকাপোক্ত করার প্রতি জোর দেওয়া হয়। তাই আরবী ব্যাকরণের নাহু—সরফকে বিস্তারিতভাবে পড়ানো হয়। সেই সাথে আছে আরবি ভাষা শিক্ষা, পবিত্র কুরআন—হাদিসের অনুবাদ, আকাঈদ, আখলাক, ফিক্হ, উসূলুল ফিক্হ, মানতিক, তাসাওউফসহ উর্দু, ফার্সী, বাংলা, গণিত ও ইংরেজি বিষয়ও। এ স্তর শেষ করলে পরবর্তী স্তরের আরবী কিতাবগুলো পড়া ও আরবী কিতাবাদি থেকে দ্বীনের ইলম অর্জনের যোগ্যতা অর্জিত হয়। বিশেষত দাখিল পরীক্ষার বিষয়সমূহ বিশেষ গুরুত্বের সাথে পাঠদান করা হয়।
৪. ‘আলিয়্যাহ্ (আলিম/ফাযিল): এ স্তরের মেয়াদ ২ বছর। এতে সকল বিষয় আরবি মূল কিতাব থেকে পড়ানো হয়। এ স্তরের ১ম বর্ষে শরঈ ইলমের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোÑ ফিক্হ, উসূলুল ফিকহ, হাদিস, উসূলুল হাদিস, আরবি সাহিত্য, নাহু—সরফ, বালাগাত—মানতিক, বাংলা, ইংরেজি, ইসলামের ইতিহাস ও সীরাত ইত্যাদির উচ্চতর জ্ঞান অর্জিত হয়। সাথে সাথে আলিম বোর্ড পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করানো হয়। আর ২য় বর্ষ আলিয়া নেসাবের ফাযিল শ্রেণির সমমান। এ স্তরে কুরআন, তাফসির, হাদিস ও ফিক্হ শাস্ত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়সহ আরবি সাহিত্য, ইংরেজি, ইসলামের ইতিহাস ও সীরাত, ইলমুল কালাম, ইসলামি দর্শন, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, পৌরবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ের গবেষণামূলক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা রয়েছে।
৫. ‘আলমিয়্যাহ্ (কামিল/স্নাতকোত্তর): এ স্তরের মেয়াদকাল ১ বছর। এতে সিহাহ সিত্তা বা প্রসিদ্ধ ছয় হাদিস গ্রন্থসহ তাফসীর, ফিক্হ, আরবি সাহিত্য ও তাসাওউফ এবং হাদিস বিষয়ে উচ্চস্তরের জ্ঞান অর্জনের ব্যবস্থা রয়েছে।
